রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

সুন্দরবনে গরানের পারমিট বন্ধ থাকায় বাওয়ালী চরম বিপাকে

খুলনা ব্যুরো : সুন্দরবনে গরানের পারমিট বন্ধ থাকায় হাজার হাজার বাওয়ালী পড়েছে বিপাকে। অপরদিকে প্রতি বছর গরান কাঠ না কাটায় সুন্দরবনের গরান সমৃদ্ধ এলাকায় গাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবিলম্বে গরান কাটার পারমিট চালু করার জোর দাবি জানিয়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন বাওয়ালীরা। 

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় সিডর সুন্দরবনে ওপর দিয়ে আঘাত হানার পর ঐ বছর সরকার গরান ও গোলপাতা কর্তন নিষিদ্ধ করে দেয়। দু’বছর পর গোলপাতার পারমিট চালু করা হলেও গরানের পারমিট আর চালু করেনি বন বিভাগ। সেই থেকে হাজার হাজার বাওয়ালী চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এখনও অনেক বাওয়ালী প্রতি বছর গরান কাটার অপেক্ষায় নৌকা সংস্কার করে আশায় বুক বেঁধে বসে থাকে। ইতোমধ্যে অনেক বাওয়ালী পেশা পরিবর্তন করে দিন মুজুরের কাজ বেছে নিয়েছে। অনেকের নৌকা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে পারমিট বন্ধ করা হলেও এর সাথে সংশ্লিষ্টদের কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করায় চরম ক্ষোভের সঞ্চয় ঘটে বাওয়ালীদের মাঝে। 

বাওয়ালীদের সূত্রে জানা গেছে, সত্তর দশকে সুন্দরবনে গরান, গোলপাতা, হেতাল, গেওয়া, সুন্দরী কাঠ কাটার পারমিট দিতো বন বিভাগ। নব্বই দশকের পর এসকল পারমিট কমিয়ে শুধুমাত্র সুন্দরী, গরান ও গোলপাতার পারমিটের অনুমতি প্রদান করা হতো। এ কারণে সুন্দরবনে বাওয়ালীর সংখ্যা অর্ধেক নেমে আসে। পথিমধ্যে সুন্দরী কাঠ কাটার পারমিটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিডরের পর গরানের পারমিট বন্ধ করা হলেও এখন পর্যন্ত তা বহাল রয়েছে। আর সেই থেকে হাজার হাজার বাওয়ালী চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে দিনতিপাত করে আসছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ